নদীয়া জেলার শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর অঞ্চলের ভাষা দেশবিভক্তির পূর্ব থেকে মেহেরপুর অঞ্চলের প্রচলন রয়েছে। এই দুই এলাকার অধিকাংশ মানুষ ১৯৪৭ সালের পরে মেহেরপুরে এসে বসবাস করেছেন। বাংলাদেশের সমগ্র অঞ্চলের প্রচলিত ভাষার সাথে মেহেরপুরের আঞ্চলিক ভাষার ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। এখানকার ভাষা শ্র“তিমধুর, সুস্পষ্ট এবং চলিত।
মেহেরপুর শহরে বিশেষকরে পৌর এলাকার অধিবাসী নিত্যদিনে কথ্য ভাষায় যেভাবে কথা বলে তা পুরোপুরি কেতাবী ভাষা বলা চলে। তবে এই জেলার গ্রামঞ্চলে মুখ্য মানুষেরা যে সমস্ত কথ্য ভাষা ব্যবহার করে থাকে তা বেশ একটু ভিন্নতর। যেমন, আতি উটি খাবো অর্থাৎ (রাতে রুটি কাবে) ‘র’ এর উচ্চারণ ‘আ’ দিয়ে ব্যবাহর করা হয়ে থাকে। আরেকটি বাক্য ঃ কুতগিয়িলিরে? অর্থাৎ কোথায় গিয়েছিলে। এই একই বাক্যটি গাংনী থানার কাজীপুরে বেতবাড়িয়া চরগোয়াল গ্রামের অধিবাসীরা এইভাবে বলে থাকেন- কুন্ঠেগিয়িলেরে।
Saturday, April 5, 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment