.

.

LightBlog

Breaking

Saturday, April 5, 2014

মেহেরপুরে এ প্রচলিত কুসংস্কার

খেলাফত আন্দোলনের ফলে অবিভক্ত নদীয়া জেলার মুসলমানদের সমাজ ও পারিবারিক জীবন থেকে অনেক কুসংস্কার বিদূরিত হলেও মেহেরপুরের অনেক অভিজাত পরিবারে এখানো বহু কুসংস্কার বিদ্যামন। এছাড়া, দরিদ্র ও মূর্খ হিন্দু- মুসলমানরা এখনো প্রচন্ডভাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন রয়েছে। দেখা যায়, মেহেরপুরের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন রয়েছেন। যেমন ঃ ডিম খেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে ভালো ফল হয় না। শাক ভাত খেলে পরীক্ষায় পাশ হয়। টিকটিকির ডাক শুনে অনেক সময় শুভ অশুভ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। সোমবারে বাঁশের ঝাড় থেকে বাঁশ কাটা হলে অমঙ্গল হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে নগদ বেচাকেনা করাকে বলা হয় বউনি। এই বউনি নাহলে মেহেরপুরে কোন ব্যবসায়ী প্রথমে কোন দ্রব্যাদি বাকি দেন না। এতে নাকি ব্যবসার অমঙ্গল হয়। শনিবার, মঙ্গলবার কেউ মাথার চুল অথবা হাতের নখ কাটে না।  রাস্তায় চলাচলের সময় কোন শিয়াল যদি ডান দিক তেকে বাম দিকে গমন করে তাহলে নাকি সেদিনটি শুভ হয়। শালিক পাখির ঝাঁক যদি কোন বাড়ীতে একষাতে কিচির মিচির করে তাহলে সেই বাড়ীতে সেদিন দাম্পত্য কলহ বাদে। পেঁচা পাখি রাতের বেলায় যদি বাড়ীর কাছেই কোন গাছের ডালে বসে বিকট শব্দে ডাকে তবে গৃহস্বামী ধারণা করেন নিশ্চয়ই বাড়ীর ছোট ছেলের অমঙ্গল হবে। আর সেই কারণেই পেঁচা পাখি তাড়িয়ে দেয়া হয়ে থাকে। খালি কলসী নিয়ে কারুর বাড়ীতে সকালে পানি আনতে গেলে তাতে অমঙ্গল হয়। তাই এই কুসংস্কার নিয়ে অনেক সময় ঝগড়া বিবাদ হওয়ার ঘঠনা একেবারে বিরল নহে। এমনি ধরনের অসংখ্য কুসংস্কার মেহেরপুরের জনজীবনে বর্তমানে প্রচলন রয়েছে।
১৬। আঞ্চলিক ভাষায় উদ্ধৃত অংশটি
অবিলম্বে বাঘাবাগদি আসিয়া কহিল “ফটিকদাদা, মা ডাকছে।” ফটিক কহিল, “যাব না”। বাঘা তাহাকে বলপূর্বক আড়াকোলা করিয়া তুলিয়া লইয়া গেল, ফটিক নিস্ফল আক্রোশে হাত পা ছুঁড়িতে লাগিল। ফটিককে দেখিবামাত্র তাহার মা অগ্নিমূর্তি হইয়া কহিলেন, “আবার তুই মাখনকে মেরেছিস?” ফটিক কহির, “না, মারিনি”। ফের মিথ্যে কথা বলছিস। “কখখনো মারিনি। মাখনকে জিজ্ঞাসা করো”।
উদ্ধৃত অংশটি আঞ্চলিক ভাষায় রূপান্তর ঃ
তাড়াতাড়ি বাঘা বাগদি এসে বলল, “ফটিক ভাই মা ডাকছে।” ফটিক বলল, “যাব না”। বাঘা তাকে জোড় করে আড়কোলে তুলে নিয়ে চলে গেল, ফটিক রাগে হাত পা লাফাতে লাগল। ফটিককে দেখিয়াই তার মা রেগে গরগর করিয়া বলিল, “পুনরায় মাখনকে তুই মেরেছিস?” ফটিক বলল, “না মারিনি।” আবার মিথ্যা কথা বলছিস। “কখনো মারিনি। মাখনকে জিজ্ঞেস করো।”   

No comments:

Post a Comment