মোহাম্মদ সহিউদ্দিনঃ বিশিষ্ট সংগঠক, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক
স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশিষ্ট সংগঠক, সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও সমাজসেবক। তিনি ১৯৭৫ সালে মেহেরপুর জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন।
বিভাগপূর্ব মেহেরপুরের তেহট্ট থানার বেতাইলাল গ্রামে তিনি ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস। দেশ বিভাগের পরপরই সহিউদ্দিন মেহেরপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এই দলের সাথে জড়িত হন। তিনি ষাটের দশকে মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ছয় দফা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে মেহেরপুর থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৫ সালে মেহেরপুর জেলার গর্ভনর নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।
বিনম্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী সহিউদ্দিন পঞ্চাশের দশকে ছাত্র জীবনে রাজনীতি শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে নিরহঙ্কারী সহিউদ্দিন তাঁর সততা ও ত্যাগের জন্য বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় সর্বজনপ্রিয় ছিলেন। মেহেরপুরের অবিসংবাদিত নেতা সহিউদ্দীন ৬৭ বছর বয়সে ১৯৯০ সালে ২১ মার্চ ইন্তেকাল করেন।
তাঁর মৃত্যুর পরপরই জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। হাজার হাজার লোক গ্রাম থেকে ছুটে আসে মরহুম নেতার বাসভবনে। জেলা প্রশাসক ঐদিন সরকারী অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণা করেন। বাজার কমিটি সকল দোকান ও কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। মেহেরপুর প্রেস ক্লাবে মরহুম নেতার স্মরণে শোক বই খোলে। শহরে শোক মিছিল বের হয় এবং স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এ অঞ্চলের সকল দল ও মতের হাজার হাজার মানুষ জননেতার জানাজায় শরিক হন। মেহেরপুরের শামসুজ্জোহা পার্কে এ মহান নেতার পাথরে খোদায়ই করা ছবি টাঙানো রয়েছে। মেহেরপুর তথা এতদঞ্চলের রাজনৈতিক ইতিহাসে সহিউদ্দিন একটি ঐতিহাসিক নাম। মেহেরপুরের উন্নয়নে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেখেছিলেন। তাঁর অবদান এলাকাবাসী যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।
গ্রন্থনা : মুহাম্মদ রবীউল আলম
বিভাগপূর্ব মেহেরপুরের তেহট্ট থানার বেতাইলাল গ্রামে তিনি ১৯২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস। দেশ বিভাগের পরপরই সহিউদ্দিন মেহেরপুরে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এই দলের সাথে জড়িত হন। তিনি ষাটের দশকে মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ছয় দফা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ১৯৭০ সালে মেহেরপুর থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৫ সালে মেহেরপুর জেলার গর্ভনর নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮৬ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন।
বিনম্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী সহিউদ্দিন পঞ্চাশের দশকে ছাত্র জীবনে রাজনীতি শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে নিরহঙ্কারী সহিউদ্দিন তাঁর সততা ও ত্যাগের জন্য বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় সর্বজনপ্রিয় ছিলেন। মেহেরপুরের অবিসংবাদিত নেতা সহিউদ্দীন ৬৭ বছর বয়সে ১৯৯০ সালে ২১ মার্চ ইন্তেকাল করেন।
তাঁর মৃত্যুর পরপরই জেলার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। হাজার হাজার লোক গ্রাম থেকে ছুটে আসে মরহুম নেতার বাসভবনে। জেলা প্রশাসক ঐদিন সরকারী অফিস-আদালত ছুটি ঘোষণা করেন। বাজার কমিটি সকল দোকান ও কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। মেহেরপুর প্রেস ক্লাবে মরহুম নেতার স্মরণে শোক বই খোলে। শহরে শোক মিছিল বের হয় এবং স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এ অঞ্চলের সকল দল ও মতের হাজার হাজার মানুষ জননেতার জানাজায় শরিক হন। মেহেরপুরের শামসুজ্জোহা পার্কে এ মহান নেতার পাথরে খোদায়ই করা ছবি টাঙানো রয়েছে। মেহেরপুর তথা এতদঞ্চলের রাজনৈতিক ইতিহাসে সহিউদ্দিন একটি ঐতিহাসিক নাম। মেহেরপুরের উন্নয়নে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেখেছিলেন। তাঁর অবদান এলাকাবাসী যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।
গ্রন্থনা : মুহাম্মদ রবীউল আলম
No comments:
Post a Comment